খুলনা বটিয়াঘাটা থানার সাবেক ওসি শেখ আবু বকর সিদ্দিক ও তার স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পারুলের প্রায় ৫১ কোটি টাকার সম্পত্তি আইনত বাজেয়াপ্তকরণ (অ্যাটাসমেন্ট) ও চারটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করার আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৬ মে) খুলনা মহানগর বিশেষ দায়রা জজ আদালতে মামলা চলাকালীন অপ্রদর্শিত এসব সম্পত্তি আসামিরা যেন হস্তান্তর করতে না পারেন সে জন্য আবেদন জানানো হয়। বিচারক মাহমুদা খাতুন আবেদন গ্রহণ করে যাচাই শেষে রায় প্রদানের কথা জানিয়েছেন।
একই সাথে এই পুলিশ দম্পতির জামিন আবেদন বাতিল করা হয়েছে।
দুদকের আইনজীবী খন্দকার মজিবর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শেখ আবু বকর সিদ্দিকের নামে থাকা খুলনা ও বাগেরহাটের কয়েকটি জমির দলিল, সোনাডাঙ্গায় আবাসিক এলাকার ১টি বাড়ির দলিল ও ঈদ উপলক্ষে ছেলেকে উপহার দেওয়া ৫২ লাখ টাকার গাড়ির কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। একই সাথে আইএফআইসি, উত্তরা ব্যাংক ও জনতা ব্যাংকের চারটি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার আবেদন জানানো হয়েছে।
দুদক, খুলনার উপ-পরিচালক এমএ ওয়াদুদ আদালতে এই আবেদন করেছেন।
অপরদিকে আসামিরা শারীরিক অসুস্থতা ও মিথ্যা অভিযোগে মামলা হয়েছে জানিয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক আবেদন না-মঞ্জুর করেন। এর আগে ৫ মে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সেই থেকে তারা কারাগারে রয়েছেন।
২০২১ সালের ৯ নভেম্বর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৩৩ লাখ ৮৯৫ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে শেখ আবু বকর সিদ্দিকর বিরুদ্ধে ৮/২১ নম্বর মামলা এবং ওই সম্পদ স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া পারুলকে হস্তান্তরের অভিযোগে সুলতানা রাজিয়া পারুল এবং শেখ আবু বকর সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ৯/২১ নম্বর মামলা দায়ের করেন দুদকের উপসহকারি পরিচালক মো. আল-আমিন।